সিবিএন ডেস্ক
ইসলামী ছাত্রশিবির জুলাই-পরবর্তী সময়ে দেশের ছাত্র রাজনীতির আদর্শ মডেল হিসেবে ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি মো. আবু সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, এ কারণেই শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের নির্বাচিত করেছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত শহীদ ইকরামুল হক সাজিদ স্মৃতি আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সাদিক কায়েম বলেন, “বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে ছাত্রশিবির ছিল সবচেয়ে মজলুম সংগঠন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই বিশ্বজিৎকে আমরা শিবির সন্দেহে হত্যা হতে দেখেছি। আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের পরও শিবির সন্দেহে কাউকে মারার বৈধতাকে কেউ প্রশ্ন করেনি। দুই হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি।”
গবেষণার গুরুত্ব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে বিশাল বাজেট থাকে, কিন্তু আমাদের দেশে তা অতি নগণ্য। উপরন্তু, বরাদ্দগুলোও দেওয়া হয় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে। আমাদের রাজনীতির নামে এই নোংরামি বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষা ও গবেষণার প্রকৃত হাবে পরিণত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো ভালো মানুষ ও জ্ঞাননির্ভর সমাজ তৈরি করা। জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সেই কাজটি চালিয়ে যাবে বলে আমি আশা রাখি।”
‘জকসু নির্বাচনে এই সংসদ অরাজনৈতিক প্রার্থীদের সমর্থন দেবে’— এই মোশনে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মোট ২৪টি দল অংশ নেয়। প্রতিটি দলে তিনজন বিতার্কিক ছিলেন এবং ট্যাব ফরম্যাটে তিন রাউন্ড বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
বিতর্কে ইতিহাস বিভাগ চ্যাম্পিয়ন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ রানার্স আপ হয়। ফাইনালে সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হন জয়ী দলের রুকসানা মিতু।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন শাখা সেক্রেটারি আব্দুল আলিম আরিফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সাজিদের বড় বোন ফারজানা হক
